রাস্তায় মরণফাঁদ ! সিঙ্গুরের দিয়াড়া স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র থেকে বড়া স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র অবধি বেহাল যোগাযোগ

7th September 2020 8:50 am হুগলী
রাস্তায় মরণফাঁদ ! সিঙ্গুরের দিয়াড়া স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র থেকে বড়া স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র অবধি বেহাল যোগাযোগ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  স্বাধীনতার পর তৈরি হয়েছিল পিচের রাস্তা। মাঝে একবার সংস্কার হওয়ার পর আর হয়নি রাস্তা অভিযোগ গ্রামবাসীদের । বর্তমানে সেই পিচের রাস্তা কে জোড়াতালি দিয়ে ইট দেওয়া হলেও তা চলাচলের অযোগ্য। একঘন্টার রাস্তায় চলাচল করতে সময় লাগছে  দু থেকে তিনঘন্টা । ফলে রাস্তা তৈরি নিয়ে একাধিকবার বিরোধী দল আন্দোলন করেও হয়নি সুরাহা। কবে হবে নতুন রাস্তা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পথচলতি মানুষজন। হুগলীর সিঙ্গুর ব্লকের দিয়াড়া হেল্থসেন্টার থেকে বড়া হেল্থসেন্টার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য ।  বাম আমলে ২০০১ সালে সিপিআই এর রাজ্য সভার সাংসদ স্বর্গীয় গুরুদাস দাসগুপ্তের উদ্যোগে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মোরাম রাস্তা থেকে পিচের রাস্তা তৈরি হয়েছিল বলে জানান গ্রামের মানুষ । এরপর মাঝে তৃনমূল সরকারের আমলে ২০১৬ সালে কিছুটা রাস্তা সংস্কার হয়েছিল। তারপর রাস্তার হাল করুণ। বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের দিয়াড়া হেল্থসেন্টার থেকে বড়া হেল্থ সেন্টার পর্যন্ত রাস্তাটি হুগলী জেলা পরিষদের পূর্ত দপ্তরের অধীনে রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হবার ফলে মরণফাঁদ তৈরী হয়েছে রাস্তায় । প্রায়শ ই দুর্ঘটনা ঘটছে । সন্ধ‍্যার সময় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা অত‍্যন্ত বিপজ্জনক বলছেন এলাকাবাসী । বর্ষার মরশুমে আর ও ভয়াবহ হয়েছে পরিস্থিতি । খানা খন্দ ভরা রাস্তায় জল জমে রয়েছে । সেই বিপদ নিয়েই একপ্রকার বাধ‍্য হয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । মুখ‍্যমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন পুজোর আগে সমস্ত ছোট রাস্তাও মেরামত করা হবে । সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নজর দেওয়ার ও নির্দেশ দিয়েছেন । এরপর আদৌ কাজ হয় কিনা তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।